চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চান্দিনায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কাদের সাব্বির (১৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে মাদ্রাসাছাত্রীর মা মাহিনুর বেগম বাদী হয়ে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আব্দুল কাদের সাব্বির কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের পরচঙ্গা গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত রুবেল ও ইউসুফ মহিচাইল ইউনিয়নের সদ্য ঘোষিত শ্রমিক লীগ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, চান্দিনার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শনিবার বিকালে মায়ের কিস্তির টাকা দিয়ে সাব্বিরের অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহিচাইল সিংহবাড়ি অতিক্রম করার পর মহিচাইল গ্রামের রুবেল, ইউসুফসহ ৩ জন অটোরিকশায় উঠে চোখ বেঁধে তুলাপুকুরিয়া এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে নিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে।
মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, আমার চোখ বাঁধা থাকায় কে বা কয়জন ধর্ষণ করেছে বলতে পারছি না। তবে শুরু থেকে তারা ৪ জন ছিল। ধর্ষণের পর রাস্তায় নিয়ে আমার চোখ খুলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে আমি বাড়িতে গিয়ে আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই।
এদিকে সোমবার সরেজমিন জানা যায়, শনিবার ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে এলাকার কিছু মাতবর। এ ঘটনায় রোববার বিকালে স্থানীয় একটি সালিশও বসে। ওই সালিশে টাকার বিনিময়ে রফাদফা করতে চাইলে অস্বীকৃতি জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার। পরদিন সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রীর মা।
চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, সোমবার সকালে অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিমকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাব্বির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩, বেলা ১২:৫৫
Discussion about this post