কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা অঞ্চলের রেলক্রসিং সংলগ্ন অর্ধশতাধিক সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা-নোয়াখালী রেলপথের কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তপইয়া এলাকায় এ ঘটনায় গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।
এ সময় তারা রেললাইনে শুয়ে পড়েন।
স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্র জানায়, লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলরুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে খুঁটি গেড়ে সড়ক বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত তিনদিন আগে অর্ধশতাধিক স্থানে সড়ক বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন কয়েক লাখ মানুষ। এতে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের পরিবহন ও রোগীর অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারছে না। বন্ধ রয়েছে মালামাল পরিবহন। স্থানীয়দের দাবি রেল সড়ক থেকেও তপইয়া সড়কের বয়স বেশি।
লাকসামের মনপাল গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল মোতালেব, মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন, আলী আকবর ও তপইয়া গ্রামের মাইন উদ্দিন বলেন, তপইয়া রেলক্রসিং দিয়ে তপইয়া, কৃষ্ণপুর, মনপাল, রাজাপুর, রামপুর, ষোলদনাসহ অন্তত ১৫ গ্রামের লাখো মানুষ চলাচল করে।
সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেললাইনের পশ্চিমের গ্রামগুলোর শিক্ষার্থী ও রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার চালকরা। সড়কটি দ্রুত চালুর দাবি জানাচ্ছি। নতুবা আরো বড় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। রাস্তা বন্ধ না করে এখানে রেলগেট ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসেন বলেন, ‘তপইয়ায় সড়ক বন্ধ হওয়ায় এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ বিষয়ে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।’
এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মুরসালিন রহমান বলেন, ‘লাকসাম-নোয়াখালী, লাকসাম-চাঁদপুর ও লাকসাম-চট্টগ্রাম রেলরুটের বিভিন্ন অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা বন্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কারো অভিযোগ থাকলে রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পূর্বাঞ্চলের বরাবরে লিখিত দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব।’
প্রকাশ: শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সকাল ১১:৩০
Discussion about this post