চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসামির অনুসারীদের হামলায় তিন পুলিশসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামি কাজী এমদাদ করপাটি গ্রামের আবুল হাশেম ডিলারের ছেলে। তিনি স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কাজী এমদাদ দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ইউপি নির্বাচনে তার বড় ভাই কাজী ইকবাল হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তার বিরুদ্ধে থানায় দাঙ্গা-হাঙ্গামার মামলা হয়। এছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও মামলা রয়েছে। নির্বাচনের পরপরই তিনি সৌদি আরবে চলে যান। কয়েকদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন।
ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, কাজী এমদাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে চন্দ্রপুর এলাকায় উপ-পরিদর্শক আজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
পরে থানায় নিয়ে আসার সময় করপাটি এলাকায় তার অনুসারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেন। এসময় তাদের হামলায় থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আজিম উদ্দিন, কনস্টেবল জাকির হোসেন, আবু বকর ছিদ্দিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সাইফুল ইসলাম আহত হন। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। আসামি এমদাদ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩, সকাল ০৯:০৬
Discussion about this post