চাটখিল প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিলে ফুটবলে কিক মারার ঘটনা নিয়ে ওসমান গনি নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার দুপুর ২টার দিকে চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার আঙিনায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত ওসমান গনি (১৫) চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহতের চাচাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার দুপুর ২টার দিকে আমাদের প্রতিবেশী মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙিনায় ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই পাকা নামাজের টংঘরে বসে মোবাইল দেখছিল। হঠাৎ বল এসে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে ওসমান ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে।
তাৎক্ষণিক মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান কাকা তার ফুটবল কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি কাঠ নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকত। কয়েক দিন আগে তার বাবা গ্রামে একটি বাড়ি করে। হামলাকারী মন্টু ভবন নির্মাণের সময় কাজ চেয়েছিল। ওই কাজ না পেয়ে তিনি ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
চাটখিল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই কিশোর মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলায় নেয়।
প্রকাশ: সোমবার, ১১ জুলাই ২০২৩, রাত ০৭:৩৪
Discussion about this post