নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মৌকারা ইউনিয়নের নান্দেশ্বর গ্রামবাসী ও স্থানীয় চান্দগড়া মিয়ার বাজারের ব্যবসায়ীরা। প্রতি রাতেই চুরি হচ্ছে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। প্রতিনিয়ত চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামবাসী ও বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
গত ১ সপ্তাহে নান্দেশ্বর গ্রামে ও মিয়ার বাজারে অন্তত ৫ টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্কুলের দরজা-জানালা ভেঙ্গে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, টর্চ লাইট, মোবাইল সেট, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার চার্জার মেশিন, স’মিলের স্কেল, অটোরিকশা গ্যারেজের লোহার মালামাল, ও স্থানীয় মেরিট কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পাখা’সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
সর্বশেষ বুধবার চুরির প্রস্তুতি কালে সন্দেহাতীত ভাবে নান্দেশ্বর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রিয়াদ উদ্দিন সানিকে গ্রামবাসী আটক করলে সে একই গ্রামের ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিনের ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার চার্জার, সালেহ আহম্মেদের নগদ টাকা ও টর্চ লাইট, চান্দগড়া মিয়ার বাজারের মামুনের মালিকানাধীন আমিন স’মিলের ওজন স্কেল, রোমনের অটো রিকশা গ্যারেজের মালামাল ও মেরিট কিন্ডারগার্টেনের বৈদ্যুতিক পাখা চুরির ঘটনা স্বীকার করে। পরে স্থানীয়রা তাকে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
নান্দেশ্বর গ্রামের ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম স্বপন বলেন, গত ১ সাপ্তাহ থেকে আমাদের গ্রাম ও পাশ্ববর্তী বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহাতীত ভাবে রিয়াদ উদ্দিন সানিকে গ্রামবাসী আটক করলে সে চুরির বিষয় গুলো স্বীকার করে। আমারা চাই আইনের মাধ্যমে এ চোরের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক নিশাত বড়ুয়া বলেন, চুরির অভিযোগে স্থানীয়রা রিয়াদ উদ্দিন সানিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে, তবে কেউ মামলার বাদী হতে রাজি না হওয়ায় পরে মুচলেকা দিয়ে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩, সকাল ০৮:১৪
Discussion about this post