নিজস্ব প্রতিবেদক
মহাসড়কে পশুবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুমিল্লা রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
তিনি জানান, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুবাহী যানবাহনের নিরাপদ চলাচল ও চাঁদাবাজিমুক্ত মহাসড়ক নিশ্চিত করতে শক্ত অবস্থানে হাইওয়ে পুলিশ। ৮২১ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে কোথাও চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লা রিজিয়নের ২২ থানা ও ফাঁড়ির সদস্যদের নিয়ে দুই দফায় ৬৬ পেট্রোল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ৩০ কুইক রেসপন্স টিম রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় শিকার যানবাহনগুলো সরিয়ে নিতে পাঁচটি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় হতাহতের জরুরি সেবার জন্য পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এ সময়ে মহাসড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই বিভিন্ন যানবাহনের মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। ঈদের আগে-পরে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, ঈদের আগে-পরে দুটি গোয়েন্দা টিম কাজ করবে। একটি পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোলরুমের পাশাপাশি থাকবে পাঁচটি সাব কন্ট্রোলরুম। নির্দিষ্ট গন্তব্য ব্যতীত কোরবানির পশুবাহী গাড়ি ভিন্ন কোনো জায়গায় জোরপূর্বক নামানো যাবে না। প্রয়োজনে হাইওয়ে পেট্রোল সেই গাড়িকে তার নির্দিষ্ট হাটে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
রহমত উল্লাহ বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি এবার বিশেষ ইউনিফর্মে থাকবে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য। আমি নিজেই একটি স্পেশাল টিমসহ মহাসড়কের শৃঙ্খলা তদারকি করবো।
মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পশুবাহী যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি হয়। এছাড়া টোল প্লাজা, গৌরীপুর, বুড়িচংয়ের নিমসার ও চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট প্রায় লেগেই থাকে। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার গাড়ি সরাতে দেরি হলেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩, রাত ১২:৫০
Discussion about this post