নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্ণতা থেকে কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি (২২) আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে তিনি বলেন, নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করা কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এটি তার আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।
পুলিশ বলছে, ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত যেসব কনস্টেবল চেকপোস্টে ডিউটি করেন তারা পিস্তল ব্যবহার করতে পারেন। অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে ডিউটিতে থাকা কনস্টেবলরা পিস্তল ব্যবহার করে থাকেন।
পুলিশের কোনো কনস্টেবল পিস্তল ব্যবহার করতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয় চেকপোস্টে যে কনস্টেবলরা ডিউটি করবেন তারা নিরাপত্তার স্বার্থে পিস্তল ব্যবহার করবেন। এটি অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে ব্যবহার হচ্ছে।
রনির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কনস্টেবল রনির সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে সম্পর্কের জেরে তারা মোবাইল ফোনে বেশিরভাগ সময় কথা বলতেন।
গতকাল (বুধবার) দিনগত রাতের বেশিরভাগ সময় ওই মেয়েটির সঙ্গে রনির মোবাইল ফোনে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ডিউটিতে আসার আগেও তাদের দুজনের মধ্যে কথা হয়েছিল।
ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোন চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির তার প্রেমিকার সঙ্গে কোনো ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বরে চেকপোস্টে ডিউটি ছিল রনির। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সঙ্গে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল রনি।
তিনি জানান, পরে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, বেলা: ০২:২০
Discussion about this post