নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় খোরশেদ আলম নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক বেগম সেলিনা আক্তার।
দণ্ডপ্রাপ্ত খোরশেদ আলম উপজেলার সিজিয়ারা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান বাহার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের মিজান মিয়ার বাড়ির মৃত আবদুর রশিদের স্ত্রী জবা বেগমকে (৭৫) দেখাশোনা ও খাবার সরবরাহ করতেন তার ছোট ছেলের স্ত্রী স্বপ্না বেগম। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ১১টার সময় দালান ঘরের দরজা-জানালা প্রতিদিনের ন্যায় বন্ধ করে পাশের রুমে ঘুমাতে যান তিনি। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার সময় স্বপ্না বেগম তার শাশুড়িকে নাস্তা খাওয়ানোর জন্য ভেতরে প্রবেশ করে তাকে বিছানায় মৃত অবস্থায় এবং মুখে বালিশ চাপা অবস্থায় দেখতে পান। ওইদিন রাতে দুষ্কৃতিকারীরা কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার চুরি শেষে বৃদ্ধা জবা বেগমকে গলাকেটে হত্যা করে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর নিহতের ছেলে মো. নুরুল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব-১১ ছায়া তদন্ত শুরু করলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনি খোরশেদ আলমকে চিহ্নিত করে। একই বছরের ৩১ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরবর্তীতে খোরশেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে খোরশেদ আলমকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩, রাত ১১:১৫
Discussion about this post