নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
এছাড়াও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংসদের বিরোধী দলীয নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোক জানানো মন্ত্রীরা হলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয়নসরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এছাড়া সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আব্দুল মতিন খসরু ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় শূণ্যতার সৃষ্টি হলো। দেশ ও জনগণের সেবায় তার অবদান জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শোক প্রকাশ করে বলেন, আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গন এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হলে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি আব্দুল মতিন খসরু এমপির মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত। তার মত একজন বর্ষীয়ান সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এবং সংসদীয় গণতন্ত্রে এক বিরাট শূন্যতা তৈরি হলো।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম শোক বার্তায় বলেন, আবদুল মতিন খসরুর মতো প্রাজ্ঞ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদের মৃত্যু দেশের আইন অঙ্গন ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিরাট ক্ষতি। তিনি আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইতিহাসের কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের আইন সংসদে পাশ হয় এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। তিনি তার কর্মের মাঝে দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
শোক বার্তায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, আবদুল মতিন খসরু গণমানুষের ভালোবাসায় পাঁচ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ নির্বাচনেও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে প্রমাণ করেছেন তার গ্রহণযোগ্যতা। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল মতিন খসরু। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
গত ১৫ মার্চ আব্দুল মতিন খসরু সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
পরে ২৮ মার্চ রাতে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর গত ১ এপ্রিল তার করোনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ৬ এপ্রিল তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২১, রাত ০৭:২৯
Discussion about this post