রেনেসাঁ ডেস্ক
কুমিল্লা নগরীর রানীরবাজার এলাকায় বিসিক শিল্প নগরীর বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস নামের ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিসিক শিল্প নগরীর সি-২৪ ব্লকের ওই কারখানায় হঠাৎ বিস্ফোরণে ২য় তলার দেয়ালসহ অন্যান্য অংশ ভেঙে পড়ে। সেসময় ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে বিস্ফোরণে আহত হন ৮ শ্রমিক। আহতদের মধ্যে শারমিন আক্তার (১৬), জুলেখা বেগম (৩৮), শামীমা বেগম (৪০), আল আমিন (২৫), ফাহমিদা আক্তার (২০) ও ফাতেমা বেগমকে (৩৫) উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত জুলেখা, শামীমা ও আল আমিনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কারখানার প্ল্যান্ট ম্যানেজার সুমন চন্দ্র দত্ত জানান, এই কারখানায় ওষুধ তৈরি করা হয়। বিস্ফোরণে ৬-৭ জন আহত হয়েছেন, তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত। এসি কিংবা রাসায়নিক ও গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে এসি থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি করলেও এতো বড় বিস্ফোরণ ও দেয়াল ধসের ঘটনা আদৌ এসি নাকি অন্য কারণে তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিসিক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সমন্বয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম ও ফায়ার সার্ভিস কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আহতদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।’
প্রকাশ : ৭ এপ্রিল ২০২১, রাত ১১:৫৫
Discussion about this post