সিলেট অফিস :
সিলেটে সৎমা ও বোনকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘাতক যুবক আবাদ হোসেন দুজনের লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় আবাদকে ছুরিসহ আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে রাত ১২টার দিকে মহানগরের শাহপরান থানাধীন বিআইডিসি এলাকার মীর মহল্লায় সৎমা রুবিয়া বেগম (৩০) এবং তার মেয়ে মাহাকে (৯) ছুরি দিযে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন ওই যুবক।
তার ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন সৎভাই শিশু তাহসানও। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, ছুরি দিয়ে সৎমা, বোন ও ভাইকে কোপাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই রুবিয়া ও মেয়ে নিহত হন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘাতক আবাদকে ছুরিসহ আটক করা হয়।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবাদ জানিয়েছেন, তার নিজের মা বিয়ানীবাজারে থাকে। তার বাবা সৎমাকে নিয়ে শাহপরান এলাকায় থাকে। কয়েক মাস আগে দোকান দেখাশোনার জন্য তার বাবা তাকে এখানে আনে। কিন্তু বিষয়টি তার সৎমা পছন্দ করেনি। কয়েক দিন ধরে সৎমায়ের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়েই তিনি তাদের ওপর হামলা চালান।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, শুধু হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হননি আবাদ, লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশু তাহসানকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, সকাল ১১:৩১
Discussion about this post