আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর রফতানিমুখী বন্দর হিসেবেই পরিচিত। এবার পুরোপুরিভাবে আমদানিমুখী হতে যাচ্ছে বন্দরটি। এই বিষয়ে প্রাথমিক ঘোষণার পর আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা জানান এরই মধ্যদিয়ে সেভেন সিস্টার খ্যাত সাতটি অঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত ঝিমিয়ে পড়া স্থলবন্দরটি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
১৯৯৪ সালে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষিত হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরটি চালু হলেও ২০১০সালে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ২৭ বছর পর আমদানীমুখী হওয়ার খবরে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত বন্দরটি দিয়ে বোল্ডপাথর, সিএনজি অটোপার্স, ফুলের ঝাড়ু, সাতকরা ও তরল রাবারসহ নামমাত্র কয়েকটি পণ্য আমদানির অনুমোদন ছিল। এসব পণ্য মাঝে মাঝে আমদানি করতেন ব্যবসায়ীরা৷ কিন্তু এই পণ্যগুলো দেশের মানুষের কোনো কাজে আসতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছরের গত ৯ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে বন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে খবর আসে, বন্দরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য ব্যতীত সব ধরনের পণ্য আমদানির প্রাথমিক অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু গ্যাজেট হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এমন খবরে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বেশ আনন্দিত-উচ্ছ্বসিত। তারা বলছেন- এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্থলবন্দরটিতে কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠবে। এছাড়া অনেক বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।’
স্থলবন্দর কর্মকর্তা (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঝিমিয়ে থাকা বন্দরটি এখন চাঙ্গা হয়ে উঠবে।’
এদিকে, বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এ ঘোষণা আমরাও শুনেছি। ঘোষণা বাস্তবায়ন হলে বন্দরে রাজস্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।’
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, সকাল ০৬:৩৫
Discussion about this post