কুমিল্লা অফিস:
কুমিল্লার মেঘনায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ২টি ড্রেজারসহ ৬ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মেঘনা উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা প্রবীরকুমার রায়ের নেতৃত্বে গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ২টি ড্রেজারের চালকসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- সহিদ, আমান উল্লাহ, ইকবাল, মামুন, আলমাছ ও ইকবাল হোসেন।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এদের প্রত্যেককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট প্রবীর কুমার রায়।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন মেঘনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল মজিদ।
গ্রামের কোলঘেষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শতশত বাড়িঘর নদীবক্ষে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিটপিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত ২০ অক্টোবর ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে বালুউত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু হাইকোর্টের ওই আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছিল প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি।
উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং সাপমারা চরেরগাঁও ৬নং সেনেরচর মৌজার অভ্যন্তরে মের্সাস নার্গিস ট্রেডাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান বালু উত্তোলনের ইজারা পায়।
ইজারা পাওয়ার পর থেকে নিদিষ্ট ডিমারগেশন এলাকা ছেড়ে গ্রামের কোলঘেষে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছিল। ফলে রামপ্রসাদের চর, চালিভাঙ্গা, বড়ইকান্দিসহ আশপাশের ২০ থেকে ২৫টি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটছিল এলকাবাসীর।
এ ব্যাপরে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায় বলেন, আদালতের আদেশ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে নার্গিস ট্রেডাস নামে ইজারদার প্রতিষ্ঠানের বালুউত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২০, রাত ০৮:৫০
Discussion about this post