প্রবাসীর স্ত্রীকে তিন লম্পটের গণধর্ষণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদরের সুধারামের পশ্চিম চরমটুয়ায় ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে তিন লম্পট ধর্ষণ করেছে। পরে তার ঘর থেকে দুটি মোবাইলসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ করলে চেয়ারম্যান তিন ধর্ষককে আটক করে ২৪ ঘণ্টা পর মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেন।
প্রবাসীর স্ত্রী (২২) রোববার সুধারাম থানায় এজাহার দায়ের করতে যান। থানার বারান্দায় তিনি জানান, তার স্বামী বিগত তিন বছর ধরে প্রবাসে চাকরি করছেন। এ সুযোগে একই বাড়ির আবদুর রবের ছেলে মো. শাহীন (২৭) প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিত।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তিনি খাওয়া-দাওয়ার পর ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহীন, মো. করিম ও মো. হেলাল তার ঘরের জানালা খুলে তার কক্ষে প্রবেশ করে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় তার একটি নকিয়া সেট, একটি স্যামসাং এ-১০ মোবাইল সেট ও দেড় ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শাহীনের মা লাকী বেগমকে জানালে সে কিছু টাকা দেবে বলে তাকে চুপ থাকতে বলে। এর পর স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানকে জানালে তারা আজ-কাল বলে তাকে মামলা দায়ের করতে কালক্ষেপণ করে এবং তিন আসামিকে আটক করলেও চেয়ারম্যান নুর আলম ২৪ ঘণ্টা পর স্থানীয় মেম্বার বাবুল হোসেনের জিম্মায় ছেড়ে দেন। এরপর শাহীনের ভগ্নিপতি ভিকটিমের মোবাইলের সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ড রেখে সেট দুটি ফেরত দেন বলেও ভিকটিম জানান।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের ডেকে আনি। তখন গৃহবধূ তাকে ধর্ষণের কথা বলেনি। তাই আটককৃতদের স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় এবং তাকে আইনের আশ্রয় নিতে অনুরোধ করি।
এ ব্যাপারে সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানান, এ ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। ভিকটিম থানায় অবস্থান করছেন। ওসি থানায় এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২০, রাত ১২:০৮
Discussion about this post