ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হলে ধর্ষণ কমে যাবে? হত্যা করলে তো সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হয় তাই বলে হত্যাকান্ড বন্ধ হয়ে গেছে!
অপরাধির বিরুদ্ধে মামলা করে টিকে থাকা যায় না।তাদের পক্ষে পুলিশ প্রশাসন সহ ক্ষমতাসীন দলের বড় নেতারা থাকেন।মামলা করে আরও হয়রানি হতে হয়।থানায় মামলা করতে হলে বহু ঘাটের পানি পান করতে হয়।এত সহজে নিরপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন পাবেন এটা আশা করেন কি ভাবে! টাকা খরচ না করলে তদন্ত হবে বা অপরাধিকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করবে আপনি ভাবলেন কি করে!অপরাধিরা প্রভাবশালী বা বেশি টাকার মালিক হলে সাক্ষী পাবেন না।কোথাও গিয়ে ঠাঁই পাবেন না।বরং উল্টো আরও হয়রানি হবেন।ধর্ষণ অপরাধে যে সাজা আছে তাতেই যথেষ্ট।সমস্যা হচ্ছে এই সাজার মুখোমুখি করাটা তো এত সহজ নয়।ধর্ষিতা গরীব অসহায় হলে মামলা করলে বার বার ধর্ষিতা হবেন বা বাড়ি ছাড়া হবেন।এর চাইতে নির্যাতিতা নারী বিচার না চেয়ে ঘরে চুপ করে থাকেন।
আচ্ছা নোয়াখালির আলোচিত সেই ধর্ষিতা নারী কি মামলা করেছিলেন! ৩২ দিন পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়াতে অপরাধিরা আইনের আওতায় আসছে।যদি ফেইসবুকে ভাইরাল না হতো তাহলে ঘটনাটি আড়ালে থেকে যেতো।কত শত শত ঘটনা এ রকম আড়ালে রয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই।
আসল কথা হচ্ছে নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা সহ মামলা আমলে নিয়ে নিরপক্ষ তদন্ত ও অপরাধিদের সাজা নিশ্চিত করতে না পারলে ধর্ষণের সাজা ফাঁসি করে কোন লাভ নেই।
সরকার বা প্রশাসন অপরাধ বন্ধ করতে পারবে না।আর তা সম্ভবও নয়।তবে তারা অপরাধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।নিরপক্ষ ভাবে কাজ করতে হবে।নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে।দল,মত,ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সমান ভাবে কাজ করতে হবে।
ক্ষমাতাসীন দলের নেতাকর্মী হলে অপরাধ করলে টিকে থাকা যায় বলেই অপরাধিরা ক্ষমাতাসীন দলে যোগদান করে। সব সময় দেখা যায় সব দলের সন্ত্রাসী ও লোভী গোষ্ঠী যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দল পরিবর্তন করে।ক্ষমতায় যারা থাকে তারাও তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করে নেয়।এলাকায় যাদের অবস্থান দুর্বল তারাই তাদেরকে মাথায় তুলে নেয়।ফলে এরাও দল পাল্টিয়ে পুরনো অপরাধ নতুন করে শুরু করে।
যে দলের লোক সে দলে পাঠিয়ে দিন।অপরাধ করার পরে সে আগে কোন দলে ছিলো এসব বক্তব্য বন্ধ করুন।
ভালো কাজ করলে আমার,খারাপ করলে তোমার এ প্রবণতা বন্ধ করুন।এসব মানুষ পছন্দ করে না।
Discussion about this post